গাড়ির নম্বর প্লেটে থাকা বর্ণগুলোর অর্থ
প্রতিটি গাড়ির নম্বর প্লেট আলাদা। ঢাকা মেট্রো ক ১২৩৪, ঢাকা মেট্রো খ- ২৩৪৫ ইত্যাদি আরো অনেক। ঢাকা মেট্রো বলতে যে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটনের আওতাধীন তা সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু শহরের নাম আর সংখ্যার মাঝে একটি বাংলা বর্ণমালাও জুড়ে দেয়া হয় গাড়ির নম্বর প্লেটে। এই বর্ণমালা দিয়ে কী বুঝানো হয় তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
তাহলে জেনে নিন কোন গাড়িতে কোন বর্ণ ব্যবহার করা হয়ঃ
ক্যাটাগরি অনুসারে গাড়ির নম্বর নির্ধারণ করার জন্য বিআরটিএ’র একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট রয়েছে। ফরম্যাটটি হল- শহরের নাম- গাড়ির ক্যাটাগরি- গাড়ির নম্বর। এই ফরমেটের মাঝের অংশে গাড়ির ক্যাটাগরি বুঝাতেই বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ক : প্রাইভেটকার, ৮০০ সিসি’র প্রাইভেট কারের নম্বরপ্লেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ব্যাঞ্জন বর্ণের প্রথম বর্ণ ‘ক’।
খ : প্রাইভেটকার, যেসব প্রাইভেট কার ১০০০-১৩০০ সিসি’র হয়ে থাকে সেগুলোর নম্বরপ্লেটে ‘খ’ লেখা থাকে।
গ : প্রাইভেটকার, ১৫০০-১৮০০ সিসি’র যেসব প্রাইভেটকার রয়েছে সেগুলোর নম্বরপ্লেটে খেয়াল করলে দেখা যাবে ‘গ’ বর্ণ দেয়া আছে।
ঘ : জিপগাড়ি, জিপগাড়ির ক্যাটাগরি নির্ধারণের জন্য ‘ঘ’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
চ : মাইক্রোবাসের নম্বর প্লেটে ব্যবহার করা হয় বাংলা বর্ণমালার ৫ম বর্ণ ‘চ’।
ছ : ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস যেগুলো সেগুলোর নম্বর প্লেটে থাকে ‘ছ’। লেগুনার জন্যও এই বর্ণটি নির্ধারিত।
জ : মিনিবাসের ক্যাটাগরি বুঝানোর জন্য নম্বর প্লেটে ‘জ’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ঝ : বড় বাস বা কোস্টার বাসের ক্যাটাগরি বুঝাতে ব্যবহার করা হয় ‘ঝ’।
ট : এটি বড় ট্রাকের নম্বর প্লেট।
ঠ : নম্বর প্লেটটি কোনো ডাবল কেবিন পিক-আপ এর নম্বর প্লেট।।
ড : মাঝারি ট্রাকের নম্বর প্লেটে ‘ড’ বর্ণটি থাকে।
থ : ভাড়ায় চলিত সিএনজির ক্ষেত্রে ‘দ’ এর বদলে ‘থ’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
দ : প্রাইভেট বা নিজস্ব পরিবহনের জন্য যেসব প্রাইভেট সিএনজি চলাচল করে থাকে সেগুলোর নম্বর প্লেটে ‘দ’ ব্যবহার করে বুঝান হয় এইটি প্রাইভেট সিএনজি।
ন : কোন গাড়ি যদি ছোট পিক আপ ক্যাটাগরির হয়ে থাকে তাহলে নম্বর প্লেটে ‘ন’ ব্যবহার করে ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে।
প : টাক্সি ক্যাবের জন্য নির্ধারিত ক্যাটাগরি হচ্ছে ‘প’ ক্যাটাগরি।
ভ : ২০০০+ সিসি প্রাইভেটকার বুঝানোর জন্য এইসব গাড়ির নম্বর প্লেট।
ম : পণ্য পরিবহন এবং ডেলিভারির জন্য ব্যবহৃত পিক-আপ বুঝানোর জন্য।
হ : যদি কোনো মোটরবাইক ৮০-১২৫ সিসি’র হয়ে থাকে তাহলে সেই বাইকের নম্বরপ্লেটে ‘হ’ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
ল : যদি কোনও মোটরবাইক ১৩৫-২০০ সিসি’র হয়ে থাকে তাহলে সেই বাইকের নম্বরপ্লেটে ‘ল’ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
ই : ভটভটি টাইপের ট্রাকের নম্বর প্লেট।
য: প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গাড়িগুলো চিহ্নিত করতে নাম্বার প্লেটে ‘য’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Leave a Comment